বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালো সিজিপিএ লাভের উপায়

সেমিস্টার ফাইনাল বা পরীক্ষা নিয়ে সবার মাঝেই কম বেশি ভয় কাজ করে। সবারই একটা সাধারণ ভয় থাকে যে,  কিভাবে ভালো সিজিপিএ অর্জন করা যায়? ১ম মেয়ে/ছেলেটাও ভয় পায় যদি এই সেমিস্টারে সে কম নাম্বার পায়? আর যে শুধু পাস করতে চায় সেও ভয়ে থাকে আদৌ কী সে অমুক স্যারের কোর্সে পাস করতে পারবে?

আচ্ছা আপনি কিভাবে বুঝবেন এই এই চাপ্টার থেকে কী কী প্রশ্ন থাকতে পারে, তাহলে এখন কী করতে হবে- SQL ফর্মুলা (Syllabus + Previous Questions + Class Lectures) এই তিনটি জিনিস একসাথ করে দেখেন BSW-2101 কোর্সের ১ম চাপ্টার থেকে বিগত সালে কী কী প্রশ্ন আসছে আর কী কী সিলেবাস আছে এই চাপ্টারে কি আসেনি খেয়াল রাখুন, এরপর দেখুন স্যারে কী কী পড়াইছে এই চাপ্টার থেকে । আশাকরি আপনি বুঝতে পারছেন এই বারে প্রশ্ন কোনটা আসতে পারে।

এই রকম নানা রকম ভয়, দ্বীধা ও সংকট ইত্যাদি পরীক্ষার্থীদের আচ্ছন্ন করে রাখে। অবশেষে সে কিছুই করতে পারেনা।

হতাশা, ব্যর্থতা, ও উদাসীনতা।।

আচ্ছা এইগুলো কার নেই? বলতে পারো? হয়তো মাত্রাটা কম-বেশি।।

আচ্ছা পরীক্ষা তো সামনে তাহলে কী কী করা উচিত?

১। যথা সম্ভব বই/শীট/ক্লাস লেকচার কালেকশান করে রাখো।

২। সামনে সিলেবাস ও বিগত ২/৩ বছরের প্রশ্ন।

এখন, মুল কাজ, পরিক্ষায় আসবে ৭/৮টি প্রশ্ন আর আপনাকে উত্তর দিতে হবে ৪টি প্রশ্ন। যার মানে সিলেবাসের যেকোনো (Min. ৫টি) চাপ্টার পড়লেই আপনার প্রশ্ন কমন চলে আসতেছে।

আর একটা জিনিস হলো ১৭নাম্বারের একটি প্রশ্নে সাধরণত ২/৩টি অংশ থাকে , এই ক্ষেত্রে প্রায়ই ১ম অংশ পরিবর্তন হলেও ২য় অংশ বিগত বছরগুলোর মধ্য থেকেই ক্রিটিক্যালি আসে।

 সবচেয়ে বড় কথা হলো সিলেবাসের যেকোনো চাপ্টারের টপিকস গুলো খেয়াল করলেই আপনি বুঝতে পারবেন যে কোন অংশটা ২য় অংশ হিসেবে আসবে।

আর এইভাবে পড়া শুরুর আগে যদি সিলেবাস ও বিগত সালের প্রশ্ন সম্পর্কে আপনার ধারনা থাকে তাহলে পড়াটা ও ভালো হবে।

সর্বোপরি, আপনি কি পড়তেছেন সেটা যদি নাইবা জানেন তাহলে পরক্ষায় উত্তর দিবেন কিভাবে। আর তাইতো ইম্প্রুভম্যান্ট আপনার জন্য।

_মাহিন/সমাজকর্ম/জবি

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url