একজন স্ত্রীর মিথ্যা, প্রতারণা ও লোভের গল্প


 "আমি তাকে তৃতীয় শ্রেণি থেকেই ভালোবেসে বিয়ে করি। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী ও কুটনৈতিক দপ্তরে কাজ করি এবং দীর্ঘ ১৮ বছর কুয়েতে প্রবাস জীবন শেষে ২০১৫ সালে দেশে ফিরে এসে আজ আমি পঙ্গুত্ব। যে বোনকে তিন তিনবার নিজের টাকা খরচ করে বিয়ে দিলাম এবং যাদের পেছনে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করলাম আজ তারাই আমাকে ছেড়ে সুখে আছে। কেউ রইলোনা আমার আজ। মামাতো ভাইয়ের হাত ধরে আমার দুই মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায় আমার ছোটবেলার ভালোবাসা। আমার আত্মীয় স্বজন বলতে কেউ নেই, এখন খাবারটা পর্যন্ত খেতে হয় হোটেলে গিয়ে তাও আবার পাঁচ টাকা অটো ভাড়া দিয়ে। আমার প্রিয়া পরবর্তীতে তিনবার প্রবাস থেকে ঘুরে এসে এখন বুয়ার কাজ করে বলে শোনা যায়।" - মিঃ সিকদার।

লোকটি এইচএসসি পাস সেই নব্বইয়ের দশকের কিন্তু এখনো চেহারায় উজ্জ্বলতা বিদ্যমান। বাসা নারায়ণগঞ্জের কোন এক পল্লীতে। গোপনীয়তা রক্ষার্থে বিস্তারিত বলা সম্ভব হয়নি।।

তবে একটাই প্রশ্ন- কেন এমন হচ্ছে? জানেন? না আপনি জানেন না কারণ আপনি প্রগতিশীল।  আমিও আপনাকে জানাবো না তাহলে বলবেন আমি পুরুষ, মানুষ নয়।। 

শুধুই বলবো আমাদের সমাজের অধঃপতন অনেক আগেই শুরু হয়ে গেছে; বিশ্বাস উঠে গেছে মানুষের মধ্যে থেকে; ভালোবাসার নামে কেবল পণ্য বিক্রি হচ্ছে; ভুরি ভুরি সার্টিফিকেট আমাদের অমানুষই করছে।।

সত্য ঘটনাঃ ২০১৯ সালে বারডেম হাসপাতালে একজন সাহায্যার্থীর গল্পকথা। 

_মাহিন/সমাজকর্ম/জবি

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url