চরিত্রহীন মানুষ পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট: আবেগ নিয়ে চলনা
মানুষ হিসাবে আবেগ থাকবে এটা স্বাভাবিক। আবেগ ছাড়া কোন মানুষই নাই। কিন্তু পশুসুলভ আবেগ পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট। রাস্তার কুকুর এর মতই সবার সাথে যা ইচ্ছা তাই করে বেড়ায়, এরা এক ধরনের মানুষ রুপি জানোয়ার। এদের কাছে মনে হয় যাদের এরকম পশুসুলভ আবেগ নাই তারা নাকি নেরো মাইন্ডের। পশুসুলভ আবেগ না থাকলে নাকি ব্রড মাইন্ড হওয়া যায় না, ওদের দৃষ্টিকোন থেকে এগুলাই ব্রড মাইন্ডের আচরণ।
ওরা অনুতপ্ত ও হয় না। যা করে তাই সঠিক মনে হয়। ভুল বুঝে অনুতপ্ত হওয়া কেবল মানুষের মাঝেই বিদ্যমান কিন্ত জানোয়ারদের কাছে নয়। আমাদের চরিত্র বলে বর্তমানে তেমন কিছুই নেই, সবকিছুই চক্রাকারে ঘুরতেছে। সবাই ভালোলাগার ফাঁদে পা দিয়ে লাভ ইজ রিভেঞ্জ জিনিসটাকে রূপায়িত করছে। কিন্তু দিনশেষে কেউ সুখী নয় কারণ যৌবন তো কয়েকটি বছরের সমন্বয় মাত্র।
তবে আমি এমন খুব কম ছেলেকেই দেখেছি যারা নরমাংসের স্বাদ নিয়ে তার সাথে সংসার পেতেছে। জীবনটা এগিয়ে নিতে হলে অনেক কিছুই দরকার যেমন: ভালোলাগা, ভালোবাসা, গল্প করা, ঘুরতে যাওয়া, শেয়ারিং - কেয়ারিং ইত্যাদি। সংসার জীবনে মেয়েদের কাছে যৌনতা হলো কর্তব্য মাত্র। সংসার জীবনের আগের যৌনতা হলো উত্তেজনা যেখানে আগুপিছু ভাবার সময় কারো নেই। যার জন্য সারাজীবন ধরে প্রায়শ্চিত্ত করতে হয় কপোত কপোতীদের এবং তাদের দীর্ঘ রজনী জেগে অনুশোচনার গল্পগুলো যদি কেউ দেখতো!
অনেকেই মনে করে এখন যা করার করে নেই পরে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিব, তাদের বলছি আপনি জেনে শুনেই এসব করতেছেন কিন্তু, ঈশ্বর ও বোকা না।
সবকিছুর মুল কথা হলো আপনার সাময়িক উত্তেজনার জন্য কতজন মানুষের জীবন-ভবিষ্যত-পরিবার নষ্ট হচ্ছে ভেবে দেখেছেন কখনো?
_মাহিন/সমাজকর্ম/জবি