ইন্ট্রোভার্ট, এক্সট্রোভার্ট নাকি এমবিভার্টঃ ব্যক্তিত্ব দ্বন্দ্ব

(Ambivert): Personality Thought

আপনি কি একজন অন্তর্মূখী নাকি বহির্মুখী? নাকি এম্বিভার্ট?

এই মহাবিশ্বে আমার আপনার মত নানা ধরণের নানা রকমের মানুষ আছে, রয়েছে তাদের বিভিন্ন গুন ও চরিত্র, কিন্তু মনস্তাত্ত্বিক দের দৃষ্টিতে মানুষেরা মূলত তিন প্রকারের হয়– ইন্ট্রোভার্ট বা অন্তর্মুখী, এক্সট্রোভার্ট বা বহির্মুখী, এবং এমবিভার্ট বা সর্বমুখী বা অমনিভার্ট।


তাই তো, আমি কে? আমি কি? আমার ব্যক্তিত্ব কি? আমি অন্তর্মূখী নাকি বহির্মুখী? আমি তো সবার সাথে মিশতে পছন্দ করি। আবার আমি একা একাও খুব ভালো থাকি, আনন্দে থাকি। আমি চাই অন্যরা আমাকে বুঝুক। আবার আমিও কেমন করে যেন তাদের বুঝে ফেলি। কেউ কেউ আমাকে খুব সামাজিক ভাবে আবার কেউ ভাবে আত্মকেন্দ্রিক। কি অদ্ভুত এক দ্বন্দ্ব দেখেন তো !

$ads={2}

এমবিভার্ট কী/কারা?

আমি এমবিভার্ট ‘A person who has a balance of extrovert and introvert features in their personality.’ তারমানে, ‘এমবিভার্ট এমন এক প্রকার মানুষদের সংজ্ঞায়িত করে, যারা একই সাথে একজন ইন্ট্রোভার্ট এবং এক্সট্রোভার্ট উভয়ের আচরণকে ধারণ করে থাকেন।’


'এমবিভার্ট' একটি ল্যাটিন শব্দ। ১৯২৭ সালে আমেরিকান মনস্তাত্ত্বিক কিম্বল ইয়ং প্রথম এই শব্দটি আবিষ্কার করেন। 'এমবিভার্ট' শব্দটি মূলত দুটি শব্দের সংমিশ্রণে গঠিত। এর প্রথম অংশ 'এমবি' যার ইংরেজি অর্থ 'রাউন্ড এবাউট' অর্থাৎ চারপাশে, আর পরের অংশ হল 'ভারটারা' যার ইংরেজি অর্থ হল 'টু টার্ন' অর্থাৎ ঘোরানো। আর এই শব্দের যে সমস্ত গুণাবলি রয়েছে এগুলোকে বলে 'এমবিভার্সন'। এর বিপরীত শব্দ হল ইন্ট্রোভার্সন এবং এক্সট্রোভার্সন।


এই পৃথিবীতে আমার মতো মানুষ অনেক আছেন। সুইস মনস্তাত্ত্বিক 'রবার্ট আর. ম্যাকরে' বলেন, ‘পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৩৮ শতাংশ মানুষ এমবিভার্ট।’


আমেরিকান বিখ্যাত মনস্তাত্ত্বিক 'এডাম এম. গ্রান্ট' এমবিভার্টদের বিশেষায়িত করতে গিয়ে বলেন- ‘পৃথিবীতে মোট জনসংখ্যার প্রায় দুই তৃতীয়াংশ মানুষ এমবিভার্ট।’ (যদিও তার এই মতামত নিয়ে বিস্তুর মতপার্থক্য রয়েছে)


আমাদের মাঝে কেউ কেউ ইন্ট্রোভার্ট হয় আবার কেউ হয় এক্সট্রোভার্ট অর্থাৎ কেউ খুব মিশুকে হয়(Extrovert) কেউ আবার নিজের মত একা থাকে(Introvert)। কিন্তু এদের মাঝামাঝি আরেক ভাগ আছে যারা কখনো ইন্ট্রোভার্ট আবার কখনো এক্সট্রোভার্ট।


বহির্মুখী বা extrovert রা খুব মিশুকে হয়, এরা যে কোনো মুহূর্তেই সবার মনোযোগের কেন্দ্রে থাকতে চায়। অন্তর্মুখী বা introvert রা নিজের জগতের মধ্যে একা থাকতে পছন্দ করে। কিন্তু এদের মাঝামাঝি এমন একটি ভাগ আছে যারা কখনো ইন্ট্রোভার্ট আবার কখনো এক্সট্রোভার্ট এর মতন ব্যবহার করে, এদেরকে বলা হয় ambivert বা সর্বমুখী।

$ads={1}

এমবিভার্টদের আচরণ কেমন?

ডব্লিউএসজে এর অনুসন্ধানে বলা হয়েছে, ‘এমবিভার্ট ধর্মীয় মানুষেরা যখন ইন্ট্রোভার্টদের মত আচরণ করে (চুপচাপ একাকী) তখন তারা বিরক্ত হয়ে যায়, আবার যখন তারা এক্সট্রোভার্টদের মত আচরণ করে তখনও শেষে তারা বিরক্ত হয়ে যান। তাই এই আচরণের মানুষগুলো দুটো চরিত্রকেই ধারণ করে তৃতীয় আরেকটি চরিত্র প্রকাশ করে থাকে।’

ব্রিটিশ মনস্তাত্বিক 'ব্রায়ান লিটল' এমবিভার্টদের বিশেষায়িত করতে গিয়ে বলেন- এমবিভার্ট ধর্মী মানুষেরা তাদের জীবন চলার পথে নিজের ব্যক্তিগত বিষয়ে তুলনামূলক বেশি স্বাধীনতা ভোগ করতে চায়। একজন এমবিভার্ট কখনোই নিজের উপর অন্য কারো হস্তক্ষেপ মেনে নিতে চায় না।

অন্য অনেক মনস্তাত্বিক মনে করেন- এই ধরনের মানুষেরা একদিকে যেমন মনের দিক থেকে শক্ত হয়ে থাকেন অন্যদিকে যেকোনো কঠিন সময়ে ভেবে চিন্তে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

যারা এমবিভার্ট তারা মাঝে মাঝে খুব হৈ চৈ করতে ভালোবাসে আবার মাঝে মাঝেই গুটিয়ে থাকে একলা হয়ে। এরা সহজেই সবার সাথে মিশে যায় কিন্তু তবুও এদের বন্ধুদের সংখ্যা আঙুলে গোনা কয়েকজন মাত্র।


এদের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো মনে শত প্রশ্ন, কষ্ট, ইচ্ছে, আকাঙ্ক্ষা থাকলেও এরা মুখ ফুটে কিছু বলবেনা আপনাকে, বরং সেই সব চেপে রেখেই হাসিমুখে থাকবে। তাই এদের মন খারাপ হলেও সেটা মুখে না বলা পর্যন্ত আপনি ধরতে পারবেননা।


এরা থাকে একটা আলাদা জগৎ নিয়ে, নিজেদের চারপাশে দেয়াল বানিয়ে। সে জগতে আপনি চাইলেই প্রবেশ করতে পারবেননা। সেখানে প্রবেশ করার চাবি হচ্ছে আপনার ভালোবাসা আর ভরসা করার মতো ব্যবহার। আর আপনাকে যদি সে নিজের জগতে রাখার মতো বলে ধরে নেয়, তবে সে আপনার সাথে সমস্ত কিছুই শেয়ার করবে, মনের মধ্যে থাকা নানা প্রশ্ন, গল্প, আশা, সবই বলবে আপনাকে, যেগুলো অন্যদের বললে হয়তো তারা এদেরকে একপ্রকার পাগল বলেই ধরে নেবে। তখন বুঝবেন সে আসলে আপনার চেনার চেয়েও কতটা অন্যরকম। কিন্তু প্রবেশ করার অধিকার পেয়ে যদি আপনি তার সেই ভরসা-বিশ্বাস একবার ভেঙে ফেলেন তখন সে এমবিভার্ট থেকে পুরোপুরি ভাবেই ইন্ট্রোভার্টএ পরিণত হয়ে যাবে, আর কোনোদিনও কাউকে নিজের একলা জগতে জায়গা দিতে চাইবে না।


জীবনে চলার পথে সবচেয়ে বেশি সমস্যা এমবিভার্টদের হয়। এদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল কেউই এদের বুঝতে পারেনা। কারণ যে মানুষটা একটু আগেও অনেক খুশি ছিলো, সবার সঙ্গে হইহুল্লোড় করছিল, হঠাৎই সে বদলে গিয়ে এক কোনে থাকতে চাইলে কেউই সেটা ভালোভাবে নেবেনা। এই ব্যবহারে যে তাদের কোনো হাত নেই তা কেউ বুঝতে চাইবে না বা বুঝে উঠতে পারবে না। একদল মানুষ তখন এদের ভুল বোঝে, ভাবে এরা বেশি বেশি ভাব/ঘ্যাম দেখাচ্ছে। কিন্তু এরা হাসিমুখে এটার পিছনে থাকা সত্যটা লুকিয়ে সব মেনে নেয়।


এমবিভার্টদের ঠকানো অনেক সহজ। কারণ হাজারবার ঠকলেও এরা আপনার নামে একটা অভিযোগও করবেনা। কিন্তু সেই ঠকে যাওয়াই এদের ভীষণভাবে পালটে দেয়। তখন এরা নিজেদের চারপাশের জগৎ টাকে আরও বেশী ধোঁয়াশায় আবদ্ধ করে ফেলে।


এমবিভার্টরা মাঝে মাঝে নিজেদের ভীষণ একা ভাবে। কারণ মন খুলে কথা বলার মতো কেউ হয়তো নেই। এদের মন কে অনেকটা শামুকের মতো বলা যেতে পারে, কারণ এরা প্রকাশ্যে শামুকের মতো শক্ত খোলস পরে থাকে কিন্তু ভেতরে ভেতরে এরা শামুকের শরীরের মতনই নরম।


কিন্তু জানেন কি, চলার পথে একজন এমবিভার্ট সবচেয়ে বেশী হোঁচট খায়।এমবিভার্টদের ঠকানো অনেক সহজ। এরা বারবার বিশ্বাস ভঙ্গ হলেও পুনরায় একটু মন ভোলানো কথায় অন্যজনকে বিশ্বাস করে। বিশেষ কিছু দিকে এরা তুলনামূলক অগ্রসর হওয়ায় আশপাশের অন্যান্যদের থেকে প্রায়ই হিংসার স্বীকার হন। কর্মক্ষেত্রে বসকে খুশি করার জন্য কৃত্রিম আবেগ দেখাতে না পারায় অনেক সময়েই এই আচরণের মানুষগুলো যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অবহেলিত থেকে যান। প্রায় সব এমবিভার্টেরই নিজের একটা জগত থাকে। সেই জগতে সবার প্রবেশাধিকার নাই। একটা মাত্রা পরে দেয়াল তুলে রাখা। সেই দেয়াল কেবল ভালবাসা আর ভরসা করার মতো ব্যবহার পেলেই উঠে যায়। চারপাশের মানুষ বেশিগভাগ সময় এদের ভুল বুঝে, মনে করে এরা ভাব নিচ্ছে। কিচ্ছু বুঝতে না দিয়েই এরা কাউকে সারাজীবন ভালোবেসে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে। আপনি হয়তো কোনোদিন জানতেও পারবেন না দূর থেকে কেউ একজন সবসময়ই আপনার ভালো চেয়ে যাচ্ছে কোনকিছুর প্রত্যাশা না করেই। আর তার জন্যই দিনশেষে এরা ভীষণ একা, ধোঁয়াশার রাজ্যে ডুবে থাকা কিছু মানুষ যাদের আমরা বলি এমবিভার্ট বলে জানি।


এমবিভার্টরা যাকে ভালোবাসে তাকে খুব মন দিয়ে ভালোবেসে ফেলে। আর তাই কষ্টটাও পায় অন্যদের তুলনায় বহু গুন। কিন্তু তবুও এরা আপনার খারাপ চাইবেনা কোনোদিন। এরা আপনার প্রতি ভরপুর ফিলিংস রেখেও আপনার থেকে নিদিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে চলবে যাতে আপনি চাইলেও সেটা বুঝতে না পারেন। আপনি হয়তো কোনোদিন জানতেও পারবেননা দূর থেকে কেউ একজন সবসময়ই আপনার ভালো চেয়ে আসছে। কিন্তু কেউ তার এই প্রচেষ্টা কে দেখার চেষ্টা করে না, কিংবা দেখেও পাত্তা দেয় না। আর এজন্যই দিনশেষে এরা ভীষণ একা, ধোঁয়াশায় ঘেরা রাজ্যে ডুবে থাকা এক শ্রেণীর মানুষ যাদের আমরা বলি “এমবিভার্ট”॥

$ads={1}

এমবিভার্টদের বৈশিষ্ট্য কেমন?

ইন্ট্রোভার্ট এবং এক্সট্রোভার্টদের ন্যায় এমবিভার্টদের ও বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেমন-

১. নতুন মানুষদের সঙ্গে সামাজিক সম্পর্কে জড়াতে অভ্যস্ত।

২. খুব সহজেই মানুষদের বিশ্বাস করে থাকেন তবে একই সঙ্গে বিশ্বাস ভঙ্গ হলে সেই পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য প্রকৃতিগত ভাবেই প্রস্তুত থাকে।

৩. প্রচুর পরিমাণে ভ্রমণ এবং বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করে।

৪. আত্মীয় কিংবা প্রতিবেশী সবার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষায় অত্যন্ত পারদর্শী।

৫. সিদ্ধান্ত নিতে ভেবে চিন্তে আশপাশের অন্য সকলের কথা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত এমনভাবে নেয় যেনো কেউই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

৬. কাজের ক্ষেত্রে একত্রে অনেক মানুষের সঙ্গে কিংবা একাকী নিজের কাজ নিজে করে ফলতে পারেন।

৭. একই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের মানুষদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে পারে।

৮. একজন এমবিভার্ট একজন দক্ষ সংগঠক।

এমন আরও কিছু বৈশিষ্ট্য নিয়ে মূলত একজন এমবিভার্ট বেঁচে থাকেন। এ সব বৈশিষ্ট্য নিয়েই একজন মানুষ এমবিভার্ট হয়ে থাকে।

$ads={2}


এমবিভার্টদের সম্পর্কে আরও কিছু কথা না বললেই নয় -

১। একজন এমবিভার্ট যেকোনো জায়গায় খুব সহজেই নিজের গ্রহণ যোগ্যতা তৈরি করে নিতে পারেন।

২। পরিবারের অন্য সকলের স্বার্থে আঘাত না করেও একজন এমবিভার্ট সন্তান নিজের প্রয়োজন পূরণ করে নিতে পারেন।

৩। একজন এমবিভার্ট কোনো একজনকে একবার ভালোবাসি বললে সেটা ভিতর থেকেই বলে। এবং কোনভাবেই পিছু হটে না।

৪। নিজের সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা থাকলেও একজন এমবিভার্ট সবসময় পরিবারের বড়দের সিদ্ধান্তের মূল্যায়ন করে।

৫। একজন এমবিভার্টকে আপনি কখনোই দেখবেন না মন খারাপ কিংবা তারা হাজার কষ্টে থাকলেও আপনাকে বুঝতে দিবে না, বরং আপনার মন খারাপের খবর নিতেই ব্যস্ত থাকবে।

৬। জেনে রাখুন একজন এমবিভার্ট থেকে আপনি সর্বোচ্চ সহযোগিতা পাবেনই পাবেন।

৭। এমবিভার্টরা খুবই সৃজনশীল।

৮। একজন এমবিভার্ট সময় ও কাজে খুবই সচেতন।

৯। মানুষ হিসেবে একজন এমবিভার্ট ভীষণ সেনসিটিভ।

১০। সর্বোপরি একজন এমবিভার্টের রয়েছে ভালো বোঝানোর সহজাত ক্ষমতা এবং সে খুবই ভালো শ্রোতা।

$ads={2}

আপনি কিভাবে বুঝবেন যে আপনি একজন বহির্মুখী নাকি অন্তর্মুখী মানুষ?

বহিমুখী মানুষ যারা তাদের এনার্জি আউটওয়ার্ড আর অন্তর্মুখী মানুষের এনার্জি ইনওয়ার্ড । আরো সোজা করে বললে যারা বাইরে থেকে এনার্জি গেইন করে তারা বহিমুখী বা Extrovert। আর ভিতরে থেকে মানে নিজের মধ্যে থেকেই এনার্জি গেইন করলে অন্তর্মুখী বা Introvert.

এই ব্যাপারগুলা বোঝার জন্যে কয়েকটা জিনিস খেয়াল করলে সহজেই বোঝা যায়-

একা থাকতে ? নাকী মানুষের মধ্যে ? বহিমুখী মানূষরা মানুষের মধ্যে থাকতে পছন্দ করে। অনেক মানূশের সাথে টাইম কাটানোর পর এদের বেশ উতফুল্ল লাগে । অন্তর্মুখীরা পুরোপুরি বিপরীত। এরা সাধারনত একা টাইম কাটাতেই বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করে, যদিবা অনেকের সাথে টাইম কাটায়, সেসব ক্ষেত্রে এদের এনার্জি সাধারনত লস হয়, মানে এদের মধ্যে একধরনের বিমর্ষতা আসে।

শুনছে? নাকি বলছে? বহিমুখীরা বলবে বেশি শুনবে কম। সাধারনত আগে বলবে পরে চিন্তা করবে। অন্তর্মুখীরা বলার চাইতে শুনবে বেশি এবং যা বলবে সেটা বলার আগে বেশ চিন্তা করে নিবে।

মধ্যে? নাকি কোনায়? বহিমুখীরা এটেনশন পছন্দ করে, সাধারনত যেকোণ আসরের মধ্যমনিদের অবিসংবাদিত ভাবেই Extrovert হিসেবে ধরে নেয়া যায়। অপরদিকে Introvert বা অন্তর্মুখীরা এটেনশন একধরনের অপছন্দই করে বলা যায়। ভরা রুমের কোনার দিকে বা স্পটলাইটের আড়ালের জায়াগাগুলিতে খুজলে তাই বেশ কিছু অন্তর্মুখী মানুশ খুজে পাওয়ার কথা ।

আর পার্সোনালিটি প্রফাইল বলে একটা ব্যাপার আছে, যেখানে কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়ে নিজের পার্সোনালিটি প্রফাইল বের করা যায়। সেখানে অন্যান্য বৈশিস্ট্যের পাশাপাশি বহিমুখী নাকি অন্তর্মুখী সেটাও বলে দেয়। পার্সোণালিটি প্রফাইলের মধ্যে MBTI টেস্টটা যথেস্ট ভাল।

$ads={1}

ইন্ট্রোভার্ট , এক্সট্রোভার্ট এবং অ্যাম্বিভার্ট এর পার্থক্য?

ইন্ট্রোভার্ট :

ছোট ছোট কথা উপভোগ করে না

 ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সাথে অল্প সময়ের জন্য বাইরে থাকা উপভোগ করে

নিজেকে আবার চাঙা  করার জন্য একা সময় প্রয়োজন

আশপাশ সম্পর্কে পর্যবেক্ষন

কাজ করার আগে চিন্তা করা

এক্সট্রোভার্ট :

চিন্তা করার আগে কাজ করা

আশেপাশে মানুষ থাকালে খেয়াল না করা 

খুব বেশি সময় একা থাকা বিছিন্ন বোধ করা

চিন্তা এবং অনুভূতি নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করে

সাধারণত ভাল নেতা

অ্যাম্বিভার্ট

নতুন মানুষের সাথে মিটিং উপভোগ করা  তবে পছন্দের এক বন্ধুর সাথে থাকা

আগ্রহের বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে বেশি পছন্দ করা

মানুষের সাথে অতিরিক্ত সময় থাকলে  ক্লান্তিকর হতে পারে

একটি পার্টিতে মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু হওয়া

"ব্যালেন্স আউট" এ ভাল - কারো কারো সাথে কথা কম বলা , চুপচাপ এমন কারো সাথে বেশি কথা বলা

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url