ইস্যু একটি জাতীয় সমস্যা

"আমরা যখনই কোন একটা বিষয় পাই, তখনি কিছু না কিছু লিখার চেষ্টা করি। জানতে ও বুজতে চাইনা যে, আমি কী ভালো না মন্দ করছি।। তাছাড়া, আদৌ আমার লেখাটা কতোটা ফলপ্রসু হবে? সেটা ও ভাবার বিষয়, শুধুই লিখলে তো হবেনা।" 


"তবে বেশিরভাগই এমনটা করে বুজে, না বুজে, আবেগে, স্বভাবে, ও কাছের কাউকে তেলাতে, অথবা অন্য কোন কাজ না পেয়ে হুদাই লাফাইতে চায়।" 


ইস্যু সমস্যা

একটা বয়স ও শিক্ষার পর মানুষের বিবেক জাগ্রত হয়, একজন নারী-পুরুষের আক্কেল দাঁত উঠতেও সময় নেয় ২২-২৮ বছর। সেখানে যারা আজাইরা সকল ইস্যু নিয়ে কথা বলে, ফেবু কাঁপায়। তাদের মধ্যে ঠিক কয়জনই বা জেনে, বুজে বা বিবেক দিয়ে কথা বলে। বিভিন্ন নিউজ ফোর্টালের কমেন্টে গেলেই দেখবেন বেশিরভাগই ফেক আইডি বা অল্পবয়সী ছেলেমেয়ে বা আবেগীয় কোন প্রবাসী ভাই; যারা থাকেই শুধু অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করতে। ফলশ্রুতিতে, তারা একটা গোষ্ঠির রোষানলে পড়ে, শুরু হয় পাল্টা-কমেন্টিং। শুরু হয় স্ক্রিনশটের ছড়াছড়ি। এভাবেই শুরু হয় ঘৃণার রাজনীতি।। 


কেন জানি আমাদের সহনশীলতার মাত্রা দিন দিন কমে যাচ্ছে। পারিপাশ্বিক অবস্থাটা ও আমাদের হাতে নেই। একটা সমাজ বা সমস্যার জন্য কাজ করতে চাইলে কাজ করতে হবে ব্যক্তি, দল, গোষ্ঠি, ও জাতীয় পর্যায়ে। যার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে গণমাধ্যম, সোশ্যাল মিডিয়া, অন্যান্য প্রিন্টিং ও অনলাইন মিডিয়া।। 

আপনি যদি একজন ইনফ্লুয়েন্সার না হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার এতো প্রতিবাধী শেয়ারগুলো কী আদৌ কারো কোন কাজে আসছে? আপনি যেটা শেয়ার করতেছেন, সেটার কখনো ফ্যাক্ট-ছেক করেছেন? না কেন করবেন। আপনার আবেগ অনেক বেশি 'উমুক ধর্ম/নারী/অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা বলেছে' তাই তার বিরুদ্ধে শুরু করে দিলেন লাইক/কমেন্ট/শেয়ার।। 


আচ্ছা আদৌ কী কোন লাভ হইছে, কয়জনকে আপনি সচেতন করেছেন? আপনার যদি এতোই দরদ বা ভালোবাসা অথবা আবেগ থাকে, তাহলে ভালো কিছু যুক্তি দিয়ে একটা আর্টিকেল লিখেন বা একটা ভিডিও তৈরি করেন। না তা তো করবেন না, পারবেন শুধু দু'লাইনে মানুষকে গালি দিতে। পারবেন শুধু বিতর্কিত পোস্ট শেয়ার দিয়ে আশেপাশের মানু্ষের সাথে সম্পর্ক খারাপ করতে।। 


যে কোন ইস্যু নিয়ে কথা বলা বা কাজ করার জন্য দেশে বহু বুদ্ধিজীবী আছেন এবং অনেকেই নিয়মিত টকশোতে কথা বলে থাকেন। অর্থাৎ নীতিনির্ধারক ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তারা আছেন। 


"আমাদের সমস্যা আমরা ধর্মকে ধারণ না করেই আবেগীয় চর্চা শুরু করে দেই। আর কিছু লোক সুযোগ বুজেই কোপ মারে। কেন এতো ইস্যু, কারা দায়ী বা কী হচ্ছে আসলে? একটু ভাবা দরকার।" 


সময় এখন আমাদের নিজেদের ক্যারিয়ার গঠনের, ফেবুতে রাজনীতি করার না। আর আপনার ফেবুর রাজনৈতিক পোস্ট দিয়ে কেউ আপনাকে চাকরী দিবেনা, চাকরী দিবে আপনার ভিতরকার যোগ্যতা দিয়ে। তবে রাজনীতি করলে মাঠে নেমেই করুন, তাহলে কিছু মানু্ষের সান্নিধ্য পাবেন; তারা আপনার কথা ভাববে। শুধু শুধু কেন ফেবুতে ভাই? যখন আমার দরকার ছিল জাতীয়-আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিশদভাবে পড়াশোনা করা, সেখানে আমরা ফেবু বিভিন্ন আজাইড়া পেইজ/গ্রুপ থেকে নানারকম গাঁজাখুরি গল্প শেয়ার দিচ্ছি। এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। 


তবে গঠনমূলক ও যৌক্তিক চিন্তাভাবনা কেন শেয়ার করবেন না?


_মাহিন/সমাজকর্ম/জবি

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url