করোনায় মানসিক স্বাস্থ্যঃ প্যারেন্টিং
করোনার সময়টা এসে প্রতিটা পরিবারের মধ্যেই আর্থিক, মানসিক, পারিবারিক ও সামাজিক সংকটের সৃষ্টি করেছে। ফলশ্রুতিতে, আত্মহত্যার মতো কাহিনি প্রতিনিয়ত ঘটছে। যার পিছনে থাকে কিছু সাময়িক ব্যর্থতার গল্প বা অভিভাবকের অদূরদর্শীতা। হয়তো কেউ কাছের কোন মানুষ বা পরিবার বা সমাজের কাছে অপ্রয়োজনীয় হয়ে উঠছে। এজন্য, পারিবারিক কাউন্সেলিং বডড প্রয়োজন।
মনে রাখা দরকার যে, "আপনার সন্তান ভুল করতে পারে বা কোন কাজে ব্যর্থ হতে পারে। তাই বার বার তার ভুল/ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলাটা কোন সমাধান না।। বরং মনের অজান্তেই তাকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন; অথবা সে মানসিকভাবে মৃত হয়ে বেঁচে আছে।। বেঁচে থাকার জন্য অনেক টাকা লাগেনা; লাগে শুধু প্রিয়জনদের একটুখানি শীতল ছায়া ও ভরসা।"
প্রিয়জনেরা বুজতেও চায়না যে ছেলে-মেয়েদের কীভাবে জীবন্ত লাশ করে ফেলতেছে। তাই, করোনা হয়তো চলে যাবে কিন্তু যে দূরত্ব আজ সৃষ্টি করতেছেন, তার রেশ রয়ে যাবে বহুবছর। পারিবারিকভাবে স্বচ্ছল অনেক পরিবারের ছেলে-মেয়েরাও এসমস্যায় ভুগছে। অনেক পরিবার তো মেয়েদের পড়াশোনা নাই বলে দ্রুত বিয়ে দিচ্ছে। আবার অনেক ছেলেই নিজের ট্র্যাক হারিয়ে পারিবারিক সাপোর্টে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। এভাবেই, আমরা তাদের হারিয়ে দিচ্ছি।
আমাদের অভিভাবকগুলো বডড অভিমানী, পৃথিবীর সবকিছুই তাদের ভাবনার ছন্দের মতো হবেনা; এটা তারা বুজতে চায়না। ছন্দপতন হলেই তাদের মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আমাদের পাশের হাজারো আলো আজ নিভু নিভু হয়ে জ্বলছে। এটা সত্য যে, সবাই আমরা পরিস্থিতির শিকার। ভালোবাসার বন্ধনটা জোরদার করা খুবি প্রয়োজন। আর কাছের ও পাশের মানুষগুলোর খোঁজখবর নিন। ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।
সর্বশেষ কথা হচ্ছে, এমন কোন মানসিক হতাশায় পড়লে আপনার প্রিয় শিক্ষক, প্রিয় বন্ধু, প্রিয় ভাইয়া/আপুর সাথে অবশ্যই পরামর্শ করতে ভুলবেন না। দিনশেষে, আপনাকে ভালো থাকতে শিখতে হবে।।
_মাহিন/সমাজকর্ম/জবি