ইংরেজি ও ইংরেজি সাহিত্য ভালো করার উপায়
ইংরেজি আমরা ছোটবেলা থেকেই পড়ি। কিন্তু অনেকেই এতে বেশ দুর্বল এবং ভয় পান। এর কারণ দুটো। যথা (ক) ইংরেজি একটি বিদেশি ভাষা। (খ) পড়ার সময় অনেকেই তেমন আগ্রহ বোধ করেন না। তাই হয়তো ভালো কিছু হয় না। কিন্তু একটা কথা স্বীকার করতেই হবে, ইংরেজিতে ভালো করার কোনো বিকল্প নেই এবং ভালো করা সম্ভবও। বিসিএস পরীক্ষাসহ অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এর গুরুত্ব অপরিসীম।
বিসিএস প্রিলিমিনারিতে ব্যাকরণে ২০ নম্বর এবং সাহিত্যে ১৫ নম্বরসহ মোট ৩৫ নম্বর বরাদ্দ থাকে। একটা সিলেবাসও দেওয়া আছে। তবে এর সঙ্গে কিছু জিনিস যোগ করে পড়লে আর ঝুঁকির কিছু থাকবে না। সাধারণত তিনটি ধরন বা দৃষ্টিকোণ থেকে প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। যথা- (ক) ব্যাকরণভিত্তিক প্রশ্ন, (খ) শব্দার্থভিত্তিক প্রশ্ন ও (গ) সাহিত্যভিত্তিক প্রশ্ন। একটু সতর্ক হয়ে প্রস্তুতি নিলে ইংরেজিতে ভালো করা সম্ভব।
ব্যাকরণভিত্তিক অংশটি খানিকটা বড় হলেও এর একটা সীমানা রয়েছে। এ অংশে ভালো করার জন্য যা করতে হবে...
(ক) প্রথমে ব্যাকরণের যে বিষয়গুলো জানা আবশ্যক তার তালিকা তৈরি করবেন।
(খ) পড়া শুরু হবে পার্টস অব স্পিচ দিয়ে। তার যে আটটি ভাগ আছে তা পড়ে নেবেন। এখান থেকে আপনি তিনটি বা চারটি প্রশ্ন পাবেনই।
(গ) নিয়মগুলো ভালো করে পড়বেন। বেশি করে উদাহরণ পড়বেন। অনেক সময় উদাহরণ দিয়ে নিয়মটা সহজে মনে রাখা যায়।
(ঘ) ব্যাকরণ অংশের জন্য নাহিদুল ইসলামের লেখা “English Apps” বইটি অনুসরণ করতে পারেন।
(ঙ) সিলেবাসের সঙ্গে কিছু টপিকস যোগ করে নেবেন। যেমন—Dangling Modifier, Inversion, Affirmative and Negative Agreement, Nominal That Clause, Animals’ Sound etc.
(চ) যদি কোনো বড় অংশ আয়ত্ত করতে না পারেন বাদ দিন। যেমন—ভয়েস কিংবা ন্যারেশন। তবে সব আবার বাদ দিতে যাবেন না।
(ছ) কিছুদিন পরপর পঠিত নিয়মগুলো রিভিশন করার চেষ্টা করবেন। মনে রাখবেন, আপনি যত নিয়ম জানবেন, তত ইংরেজিতে ভালো হবেন।
(জ) নিয়মগুলো বুঝে বুঝে পড়বেন যেন সামনে এলে প্রয়োগ করতে পারেন।
(ঝ) সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে ইংরেজিতে পোস্টসহ যাবতীয় কাজ করলে আপনার অজান্তেই চর্চাটা চালু থাকবে।
শব্দের অর্থ জানা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ্যানালজি, সমার্থক শব্দ, বিপরীত শব্দ থেকে প্রশ্ন আসবেই। তাই শব্দের অর্থ শেখা একটি চলমান প্রক্রিয়া। কারণ এর পরিধি ব্যাপক। এ অংশে ভালো করার জন্য যা করতে হবে...
(ক) বিগত বছরে আসা শব্দার্থ-বিষয়ক প্রশ্নগুলো ভালো করে আয়ত্ত করে নেবেন। কারণ অনেক সময়ই প্রশ্ন রিপিট হয়ে থাকে।
(খ) বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইভেনিং এমবিএ ও আইবিএর ভর্তি পরীক্ষার শব্দার্থ দেখে নেবেন।
(গ) বাজারে অনেক শব্দার্থ-বিষয়ক বই পাওয়া যায়। যেকোনো একটি বই সংগ্রহ করে নেবেন।
(ঘ) শব্দার্থ মনে রাখা কঠিন কাজ। তাই পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বারবার লিখবেন।
(ঙ) শব্দার্থ দিয়ে ফ্লাস কার্ড বানিয়ে নেবেন। বাইরে বের হওয়ার সময় কিছু কার্ড নিয়ে যান এবং পড়ুন। শব্দার্থ মনে রাখার জন্য এটি সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি।
(চ) ইংরেজি পত্রিকা পড়বেন, বিশেষ করে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর লেখা কলাম। যতটুকু পারা যায়। এতে শেখা শব্দার্থের চর্চা হয় এবং নতুন শব্দ শেখা যায়।
(ছ) কিছু শব্দের সমার্থক ও বিপরীত শব্দ পড়ার চেষ্টা করবেন।
রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, একের সহিত অন্যের মিলনকে সাহিত্য বলে। কিন্তু আমরা একের সহিত অন্যকে মেলানো বাদ দিয়ে গুলিয়ে ফেলি। কেউ পিথাগোরাসকেও ঔপন্যাসিক বলে ফেলি। কারণ সাহিত্য সৃষ্টির চেয়ে মনে রাখা কঠিন। এটা আমাদের ভাষ্য। বাংলা সাহিত্যই মনে রাখতে অবস্থা খারাপ। আর ইংরেজি তো কথাই নেই। দেখলেই জ্বর আসে। এর কারণ তিনটি—
(ক) ইংরেজি সাহিত্যের পরিধি অনেক বড়,
(খ) বেশির ভাগ পরীক্ষার্থী ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষার্থী নন। হলেও খুব বেশি গল্প, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ পড়ার সুযোগ ও সময় পান না।
(গ) অনেকেই জীবনে ইংরেজি সাহিত্য নিজ উদ্যোগে পড়েননি। এখন চাপে পড়ে পড়ছেন। তাই অসুবিধা হচ্ছে। তাহলে উপায়? আছে। ১৫ তে ১৫ পাওয়ার টার্গেট নিয়ে পড়া যাবে না। আপনি পাবেনও না। টার্গেট থাকবে ১০ থেকে ১৩। আর একটা কথা মনে গেঁথে নেবেন, প্রিলিমিনারি পাস করার জন্য সাহিত্য পড়ছেন, ওস্তাদ হওয়ার জন্য নয়।
তাহলে আপনাকে সাহিত্যের যে বিষয়গুলো পড়তে হবে...
(ক) Time frame of important
(খ) Important books and authors’ name
(গ) Important characters (বাছাই করে)
(ঘ) Title of writers
(ঙ) Maxim or Quotation
(চ) Literary Terms
(ছ) Previous questions
(জ) Some important writers.
আমি পরামর্শ দেব ইংরেজি সাহিত্য যুগভিত্তিক না পড়ে গুরুত্বপূর্ণ লেখকভিত্তিক পড়তে। কারণ প্রশ্ন হয় লেখক ধরে; যুগ ধরে নয়। যেমন—শেক্সপিয়ার থেকে প্রশ্ন আসবেই। তাহলে আপনি এটা আগে পড়বেন নাকি অ্যাংলো স্যাক্সন যুগ আগে পড়বেন।
৩৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় শুধু উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ থেকেই এসেছে তিনটি প্রশ্ন। তাই লেখককে আগে গুরুত্ব দিতে হবে। এরপর যদি পরীক্ষা দেরিতে হয় বা আপনার সময় থাকে, তবে আরও কিছু পড়ে নেবেন। বেশি পড়লে ক্ষতি নেই। তবে কম গুরুত্বহীনকে বেশি বা আগে পড়লে সমস্যা হতেও পারে ইংরেজি সাহিত্যের ক্ষেত্রে।
ইংরেজি সাহিত্য পড়ার জন্য আপনি একটা গাইড পড়লেই হবে তা হলো— র্যাডিক্যাল ইংলিশ লিটারেচার। বাংলা ভাষায়ও আছে কিছু জিনিস। সাহিত্যটা বোঝার চেয়ে মনে রাখা জরুরি। আর লিখিত ও ভাইভায় (যদি ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষার্থী না হন) এর কোনো প্রয়োজন নেই। সুতরাং এত চাপ নেওয়ার কিছু নেই।
উপরিউক্ত ২৫ জন কবি ও লেখক সম্পর্কে ভালো করে পড়বেন। আর বাকিদের হালকা দেখলেন। হয়ে যাবে। আর দুই-তিন দিনেই সব শেষ করতে যাবেন না। অল্প অল্প করে এগোবেন। যেমন—এক দিনে ৩ জন লেখক ভালো