গবেষক হওয়ার তিনটি সুবিধা



গবেষক হওয়ার সুবিধা কী? গবেষক হওয়ার সুবিধা অনেক তবে গতকাল আমি ৩ টি সুবিধার কথা ভেবেছি যা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে পাওয়া।


প্রথম সুবিধাঃ নীতিবান মানুষ হওয়ার গুণ

যারা গবেষক তারা নীতি ও আদর্শবান হয়। গবেষণাই এ নীতি ও আদর্শবান করে তোলে। এ নীতি ও আদর্শই গবেষককে দক্ষতাপূর্ণ করে এবং সহজে পরাজিত করা যায়না। গবেষকগণ সব সময় ন্যায় ও সৎভাবে অর্জন করতে চায় যা তাদেরকে অনেক মজবুত করে। যারা এ মহান পেশায় যুক্ত হয় তাদের মাঝে এ গুনগুন চলে আসে।


একটা ঘটনা শেয়ার করি, এক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যার সম্মান, সম্পদ ও খ্যাতি সব কিছু আছে। উনার একটি মাত্র পুত্র যে কিনা বাবার মতো ছিল। এইচএসসি পর ভর্তি হয় নামকরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। খ্যাতি ও সুনাম আরো ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরে অসৎপথে চলে যায় অসৎসঙ্গ পেয়ে। যে সঙ্গরা ছিল নীতিহীন। অসাধু উপায়ে সহজে অর্জন করা শুরু করে যা তাকে অদক্ষ করে তোলে এবং পথভ্রষ্ট করে তোলে। একটা সময় পুরো ধ্বংস হয়ে যায়। সেই প্রধান শিক্ষক ছেলের কুকর্মের কারণে অনেক কষ্ট নিয়ে মারা যায়।


তাই যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীন তাদের জ্ঞানী সিদ্ধান্ত হবে গবেষণার সাথে যুক্ত হওয়া এবং গবেষক হওয়া যা নবীনদের এতো শক্তিশালী করে গড়ে তুলবে যে কেউ সহজে পরাজিত করতে পারবে না।

$ads={2}

দ্বিতীয় সুবিধাঃ বিচার-বিশ্লেষণ করে কথা বলার গুণ

সাধারণ মানুষ যা মনে আসে মুখে তাই বলে কিন্তু গবেষক সেটা কখনো করে না। গবেষক বিচার-বিশ্লেষণ করে কথা বলবে, সঠিক কথা বলবে। তাই সাধারণের কথা প্রায় শুনতে আমার কাছে বিব্রতকর লাগে কিন্তু গবেষকের কথা শুনতে খুব ভালো লাগে। সব সঠিক তথ্য প্রদানের চেষ্টা থাকে।

$ads={1}

তৃতীয় সুবিধাঃ চমৎকার তথ্য পাওয়া

গবেষণা করে এবং গবেষণা পত্র পড়ে চমৎকার তথ্য পাওয়া যায় যা জীবনকে অসাধারণ করে। একজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক গতকাল বললেন যে দুটো পন্য প্রায় সমান স্বাদ কিন্তু ক্রেতার কাছে একটির চাহিদা বেশি এবং অপরটির চাহিদা কম। এর কারণ হচ্ছে একটি কোম্পানি গবেষণা করেছে যে কোন মোড়ক ক্রেতাকে বেশি আকৃষ্ট করবে এবং তারা সেভাবে পরিবেশন করছে তাই তাদের পন্যের চাহিদা বেশি। অন্যদিকে আরেকটি কোম্পানি এ বিষয় নিয়ে গবেষণা করেনি তাই সমান স্বাদ হওয়ার পরেও তাদের পণ্যের চাহিদা কম।


আরেকটি বিষয় হচ্ছে তথ্যই শক্তি যা চিরন্তন সত্য যা গবেষণা করে পাওয়া যায়।


এ তিনটি সুবিধা ছাড়াও অসংখ্য সুবিধা রয়েছে গবেষক হওয়ায়। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা নবীন শিক্ষার্থীদের বলবো যে অবশ্যই গবেষণা ও গবেষণার সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকার জন্য। পাশাপাশি অন্য সংগঠন গুলোর সাথে কাজ করার জন্য গবেষণা ও গবেষণার সংগঠন কে সাথে রেখে।


লেখকঃ মোঃ রবিউল আউয়াল [Convener & Founder President, JKKNIU Research Society ]

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url